ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারনার মাধ্যমে ভুল তথ্য উপস্থাপন করিয়া টিপসহি নিয়া প্রতারনামূলক ভাবে মামলা করিতে বাধ্য করায় মামলা উঠাইয়া নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করে মোঃ খোকন মিয়া, মোঃ হেলাল মিয়া, মোছাঃ কোকিলা বেগম, মাফিয়া বেগম ও সোলেমান।
মোঃ খোকন মিয়া বাদী হয়ে প্রতারক জলিল সরকার ও বাবুল মিয়াকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানাযায়, শহরের নয়নপুর এলাকার তাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে জলিল সরকার ও একই এলাকার তারেক মিয়া (উরুফে মোল্লার) ছেলে বাবুল মিয়া নয়নপুর এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে খোকন মিয়ার ভাগিনা সুজন মিয়াকে জি.আর-১৭/২১ইং ১৪৩/৪৪৭/৩৮৫/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড হইতে জামিন করাইয়া দিবে বলে টিপসহি আদায় করে ও ২০হাজার টাকা নেয় খোকন মিয়ার কাছ থেকে।
পরবর্তীতে জলিল সরকার ও বাবুল মিয়া ০৯-০২-২০২১ইং তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আদালতে ৮জনকে আসামী করে সি.আর ১৫২/২১ সদরে খোকন মিয়াকে বাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যা বাদী খোকন মিয়া নিজেও জানতেন না। মামলায় এলাকার সমস্ত ভাল, ভদ্র লোকদের হয়রানী করার জন্য একটি মিথ্যা মামলা করে।
পরে খোকন মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে প্রতারনার মাথ্যমে ভুল তথ্য উপস্থাপন করিয়া টিপসহি নিয়া প্রতারনামূল ভাবে মামলা করিতে বাধ্য করায় মামলা উঠাইয়া নেওয়ার জন্য আবেদন করেন এবং ১৮/০২/২০২১ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আদালতে খোকন মিয়া নিজে বাদী হয়ে জলিল সরকার ও বাবুল মিয়াকে আসামী করে ৩৪২/৩৬৫/৪০৬/৪২০/১০৯ পেনাল কোড ধারায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানাযায়, আসামীরা অত্র এলাকার সমস্ত খারাপ কাজে জড়িত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন। চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারী, নারী নির্যাতন, নারী অপহরণ,পরসম্পত্তি বলপূর্বক গ্রাস করা আসামীদের নেশা ও পেশা। মামলার সূত্রে আরো জানাযায়, বাংলাদেশ সরকারের ফোর লেন রাস্তার মাধ্যে জনসাধারণের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করিলে প্রতারক, ভুমি দস্যু, জমি অধিগ্রহণকৃত লোকজন থেকে প্রতারনা, প্রলোভন, দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আসামীগণের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ও আদালতে বিচারাধীন আছে। জলিল সরকার ১৫/০১/২০২১ তারিখে একটি চাঁদাবাজি মামলায় জেল হাজতে যায়। পরে সে খান থেকে জামিনে বের হয়ে আবাও মানুষের সাথে প্রতারনা শুরু করে।
সর্বশেষ ১৪-০২-২০২১ইং তারিখে জলিল সরকার প্রতারনা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারির মামলায় জেল হাজতে যায়। সে এখনো কারাগারে আছে। এদিকে জলিল সরকারের স্ত্রী মামলার বাদীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। যদি মামলা তুলে না নেয় তা হলে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে দিবে।