কিশোর, উদীয়মান কবি ও সংগঠক মোঃ রাসেল হাসানের “জ্যোৎস্নাধোয়া রাত” কাব্যগ্রন্থটি শীঘ্রই নীলাদ্রি প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। মাত্র ১৪বছর বয়সে বই প্রকাশ করার ঘটনা বাংলা সাহিত্যে দুর্লভ। কবি কামিনী রায় ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৫ বছর বয়সে বই প্রকাশ করে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। রাসেল হাসানের ৪ফর্মার এ বইটির সবগুলো কবিতা পাঠক হৃদয়ে সাড়া জাগানোর মতো। বইটির ভূমিকা লিখেছেন স্বয়ং একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা। “ভূমিকায় তিনি কবিতার দুটি পঙক্তি দিয়ে শুরু করে লিখেন, তরুণ প্রতিভাবান কবি মোঃ রাসেল হাসানের লেখাগুলো পাঠ করে জানতে পারলাম সত্যিই অসাধারণত্ব রয়েছে তার লেখায়। কবি অসীম সাহা চমৎকারভাবে রাসেল হাসানের লেখা গুলোর মান ফুটিয়ে তুলেছেন এবং শেষে তিনি সকলকে নবীন এই কবিকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কবি মোঃ রাসেল হাসান ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার নগুয়া কুশলগাঁও গ্রামে। পিতা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও মাতা মোছাঃ আনোয়ারা আক্তার। ইতোপূর্বে কবির ৮টিরও অধিক যৌথকাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ বয়সেই তিনি বেশকিছু সম্মাননা সনদ অর্জন করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারেও লেখক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তিনি “দক্ষিণ হাওয়া” নামের একটি অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া “বাংলাদেশ সমকালীন কবি পরিষদেরও একজন এডমিনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বেশ ক’টা অনলাইন পত্রিকায়ও কাজ করেন। “রাসেল হাসান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল ১৪ বছর বয়সে একক বই প্রকাশ করার। ‘জ্যোৎস্নাধোয়া রাত’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে সে স্বপ্ন পূরণের পথে। শীঘ্রই বইটি প্রকাশ হবে। আশা করি বইটি পাঠক হৃদয়কে আন্দোলিত করতে সক্ষম হবে। যেটা ভূমিকা পড়লেই বুঝতে পারবে সবাই। সবাইকে স্বল্পমূল্যে বইটি সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করছি। বইটি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১এ নীলাদ্রি প্রকাশনীর স্টলে থাকবে। তাছাড়া রকমারিসহ নেত্রকোনা শহরের বিখ্যাত কোনো লাইব্রেরীতেও রাখা হবে। সবাইকে বলব, বেশি বেশি বই পড়ুন। দেকার্তে বলেছেন, আমি প্রচুর বই নিয়ে গরিব হয়ে চিলেকোঠায় বসবাস করব। তবুও এমন রাজা হতে চাই না যে, বই পড়তে ভালোবাসে না। একটি বই যে ১০০টি আইফোনের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী, এটা স্বীকার করতে আমি একটুকুও কুণ্ঠিত হয় না। আবার বলব, সবাই বেশি বেশি বই পড়ুন। যারা আমাকে ভালোবাসে সবার প্রতিই আমি কৃতজ্ঞ।
বই হোক সকলের নিত্যসঙ্গী।”