নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে হাত দিয়ে দেখ, তুর হাত ভেঙ্গে ফেলা হবে; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে এই কথা গুলো বলছিলেন শিশু বক্তা হাফেজ ক্বারী রফিকুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এসে এক ওয়াজ মাহফিলে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতি এমন হুঙ্কার দেওয়া হয়।
সম্প্রতি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে হেফাজত ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলার আমির ও ডিআইটি মসজিদের খতিব প্রথমে মসজিদ ভাঙ্গার চেষ্টার অভিযোগ তুলেন। গত ১২ ফেব্রæয়ারী মসজিদ ভাঙ্গার চেষ্টার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ওলামা পরিষদের বক্তারা ‘মেয়র আইভীকে চ্যালেঞ্জ করে ছিলেন’।
তবে, ১৩ ফেব্রুয়ারী রাতে মসজিদ ভাঙ্গার চেষ্ঠা মিথ্যা দাবী করে মেয়র বলেন, ‘আমি মসজিদ ভাঙ্গবো কেন? মসজিদ উল্টো করে দিচ্ছি।’
শিশু বক্তা হাফেজ ক্বারী রফিকুল ইসলাম য়াজ মাহফিলে এসে বলেন, ‘মুসলমানের ইমানের আওয়াজ আরো জুড়ে হতে হবে। ঈমানদারের আওয়াজ যদি ¯েøা হয়ে যায়, বেঈমানদের আওয়াজ শক্ত হয়ে যাবে। ঈমানদারের আওয়াজ যতবেশি মজমুদ হবে। বেঈমানদের অন্তরে তত বেশি কাপুনি শুরু হবে। আল্লাহর রাস্তায় জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে জীবন দিতেও হতে পারে আবার নিতেও হতে পারে। ভয় পেলে চলবে না। ভয় দেখাতে হবে। নয়লে আইভী ভয় পাবে কি ভাবে? মসজিদ ভাঙ্গতে চায়। এত বড় দু’সাহস। যদিও আজকে বলেছে, আমি মসজিদ ভাঙ্গি না, মসজিদ নির্মাণ করতে চাই। জাতা গাইলে সব সোজা হয়।’
শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ ভাঙ্গ না, নির্মাণ করতে চাও। আবদুল আউয়াল হুজুরের সাথে মনে হয়, আমরা কথা বলি নাই, জানি নাই? মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র, যে বা যারা করেছিল। সেটা নারায়ণগঞ্জে হোক, কিংবা ঢাকার ধানমন্ডীতে। বাংলার যে জায়গাতে মসজিদ ভাঙ্গনে ওয়ালা হাত পাওয়া যাবে, সেই হাত মুসলমান ভেঙ্গে দিবে। হে যুবক, এমন ভয় ধরাইয়া দেও। মসজিদ ভাঙ্গবে দুরের কথা। মসজিদ ভাঙ্গার কল্পনা করার আগে যেন বাবুনগরীকে স্বপ্ন দেখে।