নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার অন্যরকম কাদায় কম্বল ও শীতের কাপড় বিতরণ করে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আর এসব শীত বস্ত্র নিয়ে প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটাদের বাড়ি বাড়ি। পাশাপাশি শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে ঘটা করে আয়োজন করছেন অনুষ্ঠান। দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন ভোটার ও দলীয় হাইকমান্ডের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৫টি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আখাউড়া পৌরসভা ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী মার্চ থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
এবিষয়ে বেশ কিছু স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, সরকারি বরাদ্দের কম্বল বিতরণ করছে প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা। কিন্তু কম্বল বিতরণের নামে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থীরা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থীরা। নির্বাচনি প্রার্থীরা শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লোকদেখানো জনসেবা করছে । হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বা শীত বস্ত্র বিতরণ করা মহৎ কাজ। কিন্তু এই কম্বল বিতরণের নামে আমাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে।
আবার এসব কম্বল বিতরণ করার সময় বড় ধরনের আয়োজন করে হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা ও নির্বাচনি প্রার্থীরা আসছে এসে তারা সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছে । আবার ফেইসবুকে ছবি আপলোড করছে ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কম্বল বিতরণের ছবি ছাপানো হচ্ছে।
এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়া ৮নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মীর মোঃ শাহীন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেককেই শীতের কাপড় ও কম্বল বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে । তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হতদরিদ্র মানুষগুলোকে লোক দেখানো নিম্নমানের কম্বল দিচ্ছেন। কিন্তু সত্যিকারের জনসেবা বলতে শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হয়।