ফরিদপুর প্রতিনিধি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃজাহিদুর রহমান(জাহিদ) চেয়ারম্যান হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেছেন। গত ১৫ জুলাই রাত্রে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল পরবর্তীতে সেখান থেকে ইউনাইটেড হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইউনাইটেড হসপিটালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এস এম হাসান শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। যতটুকু জানতে পেরেছি অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে গেরদা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক(পদপ্রার্থী) মোঃ মনির হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়,সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিটি করোনাকালীন সময়েও বিরামহীনভাবে মানুষকে সেবা দিয়েছেন।যেমন নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসা,তার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গমনকরা, সরকারি,ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা। পরিবার থেকে বারবার অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে নিষেধ করা হলেও তিনি বরাবরের মতো গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের বাতিঘর হয়ে কাজ করেছেন। বিশেষ করে গেরদা ইউনিয়নের মানুষের জন্য।
বস্তুতপক্ষে,মোঃ জাহিদুর রহমান(জাহিদ) চেয়ারম্যান মুজিব আদর্শের এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত নাম।তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উতরাই দেখেছেন। রাজনীতি করার কারণে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে পথ চলতে গিয়ে অনেক অত্যাচার নির্যাতন তাকে সহ্য করতে হয়েছে।স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে একবার তার ওপর বোমা হামলা হয়। যে হামলায় তার একটা পা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে তাকে দীর্ঘদিন ঢাকা উপশম চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হয়।উপশম চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসাকালীন সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে তার তিন বেলার খাবার আসতো। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন সহ বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কখনো মুজিব আদর্শ থেকে এতোটুকু বিচ্যুত হননি। রাজনীতির শুরু থেকে নিয়মিত মুজিব কোট পরিধান করা এ নেতা শুরু করেছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব।
তিনি এমনি একজন মানুষ তার ঘরের দরজা কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সবসময় সাধারন জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তার অনেক গুণাবলীর একটি হচ্ছে মানুষকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারেন।তাইতো গেরদা ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের আস্থা ভালোবাসা বিশ্বাসের বাতিঘর এবং শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আসীন হয়েছেন।তার অনুসারীদের অনেকের মধ্যে আক্ষেপও রয়েছে যে পরীক্ষিত এ মুজিব সৈনিক বারবার(চারবার)সফলতা, দক্ষতা,সুনামের সাথে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এবং আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের দক্ষ সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিটিকে আরো বড় কোন জায়গায় না দেখে।
একনজরে মোঃ জাহিদুর রহমান (জাহিদ)এর রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন।
মোঃ জাহিদুর রহমান জাহিদ
১৯৭২ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
১৯৭৫-৭৬ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক।
১৯৭৭-৭৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৮৩ সালে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
১৯৮৬ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
১৯৯০ সালে তিনি জেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন।
২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি ফরিদপুরে মুজিব আদর্শের হাতিয়ারকে শক্তিশালী করেছেন।
২০০৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।