ও করোনার প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালের বাজারে চলছে উর্ধ্বমূখী প্রবণতা। সব ধরণের চালের বস্তা প্রতি বেড়েছে দু থেকে আড়াইশ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ধানের দাম বৃদ্ধি, বন্যা ও করোনার প্রভাবে বাজারে এমনটি হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমান চালের মজুদ রয়েছে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকন, মোটা সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে। প্রতি বস্তায় দাম বড়েছে ২ থেকে ৩শ টাকা। ব্যবাসায়ীরা জানান, ধানের বাজার দর বৃদ্ধি ছাড়াও করোনা ও বন্যার প্রভাবে চালের বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। চিকন, মোটা সবধরণের চালেই প্রতি কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে মোটা চাল ৪২ টাকায় বিক্রী হলেও এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৬ টাকায়।
চিকন চালের দর ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকায় দাড়িয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিক ও আড়ৎদারদের দায়ী করছেন। তবে মিল মালিকরা জানিয়েছেন, ধানের দর বৃদ্ধি এবং বন্যার প্রভাবে পাইকারী বাজারে চালের দাম সামান্য বেড়েছে। সাধরণ মানুষ বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবী জানিয়েছেন। চালের বাজার মূল্য দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা ভোক্তাদের।
জেলা কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর মার্কেটিং অফিসার মোঃ নাজমুল হক বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যাতে চালের দাম না বাড়ে। প্রতিদিন পাইকারী আড়ৎদে মনিটরিং করছি, তারা কি দামে বিক্রী করছে, তাদের ক্যাশ মেমো দেখছি যাতে কোনো রকম কারসাজি না করতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, জেলার সরকারি খাদ্য গোদামে ২০ হাজার ৩৩৯ মেঃ টন চাল মজুদসহ ইতিমধ্যে ওএমএসের কার্যক্রম চালু হওয়ায় শীঘ্রই বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন তিনি।