বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ও ৫নং ওয়ার্ডের মধ্য বাওয়ালকর এলজিইডি রাস্তার ব্রীজ হয়ে সরোয়ারের বাড়ীর সামনে দিয়ে ১৩৭ নং উত্তর কুমড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে সাংবাদিক সোহরাফ হোসেনের বাড়ীর সামনে কাটাখালী বায়তুন নুর শেফা জামে মসজিদ হয়ে বারেক বিশ্বাস বাড়ি পর্যন্ত গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ সাড়ে ৩কিলোমিটার রাস্তাটির আজও চরম দুর্দশা, দেখার কেউ নেই।
উত্তর কুমড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, কুমরাখালি কাটাখালি গ্রামের মানুষ বাজারমুখী হতে হলে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে যেতে হয়ে বাজারে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যেতে হয়, কিন্তু এলাকায় জনবহুল থাকার কারণে মানুষের আসা-যাওয়া যাতায়াত ব্যবস্থা আরো অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটির অতি শীগ্রই পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তা ছাড়া সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তাই মাননীয় সংসদ সদস্যর এখানে একটু মানবতার দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী কারণ ১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালের ঘুর্ণিঝড় সিডরে এই রাস্তা দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনেক মানুষকে প্রান দিতে হয়েছে।
বর্ষার সময় আসলেই কাঁচা রাস্তাটিতে নালা খন্দের সৃষ্টি হয় এবং কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।এই রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাটাখালীর লোকজনের ফুলঝুড়ি বাজার,বরগুনা যাওয়া এবং আশার এই রাস্তা।তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের ফুলঝুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বদরখালী সিনিয়র মাদ্রাসা, কুমড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ, এবং অএ ওয়ার্ডের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ফুলঝুড়ি যেতে হয়। বহু আগেই এই রাস্তাটি পাকা হওয়ার দাবিদার থাকলেও আজ পর্যন্ত হয়নি । অএ গ্রাম থেকে লেখাপড়া করতে আসা হাজারো শিক্ষার্থীরা না হয় করোনার কারণে এবারের মত দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেল কিন্তু হালটের রাস্তা দিয়ে গাড়ি, মটরসাইকেল, অসুস্থ ব্যক্তি, শিক্ষক ও জনসাধারণ কিভাবে চলবে? একটু বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য, ও বরগুনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সু-দৃষ্টি কামনা করেন অএ ওয়ার্ড বাসী এবং অনতিবিলম্বে উক্ত রাস্তাটি পাকা করার দাবী জানান ভুক্তভুগিরা।